Thursday 31 October 2019

ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী,কঠিণ বিপদে পাপন


গতকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ক্যাসিনো খেলার একটি ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। প্রথমে দুটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আজ পাপনের ক্যাসিনো খেলার ভিডিওটিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ভিডিও এবং স্থিরচিত্রগুলো দেখেছেন। যখন দেশে ক্যাসিনো বিরোধী শুদ্ধি অভিযান চলছে তখন পাপনের এই ক্যাসিনো খেলার দৃশ্য দেখে হতবাক প্রধানমন্ত্রী নিজেই। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আজ দুপুরের পর প্রধানমন্ত্রী পাপনের ক্যাসিনো খেলার স্থির এবং ভিডিও চিত্রগুলো দেখেন। তিনি ব্যাথিত এবং হতাশ হন।

এই ছবি দেখতে দেখতে তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে, পাপনও!উল্লেখ্য যে, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান এবং আওয়ামী লীগের মহিলা নেত্রী আইভী রহমান পুত্র নাজমুল হাসান পাপন। প্রধানমন্ত্রী তাকে ছোট ভাইয়ের মতই স্নেহ করেন। জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর তাকে সেই শুন্য আসনে মনোনয়ন দেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদও তাকে দেন। পাপনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগ আসলেও প্রধানমন্ত্রী সেগুলো আমলে নেননি।অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর স্নেহধন্য এ কারণেই পাপন ক্রিকেট বোর্ডকে তার ইচ্ছেমতো চালিয়েছেন। জবাবদিহীতার উর্ধ্বে রেখেছিলেন নিজেকে। এখন এই ক্যাসিনোর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পাপনের পরিণতি কি হয় সেটাই দেখার বিষয়।
আরও পড়ুনঃজাঁকজমকপূর্ণ ক্যাসিনোতে জুয়া খেলছেন বিসিবি সভাপতি পাপন! (ভিডিও)জাঁকজমকপূর্ণ কোনো এক ক্যাসিনোতে বসে জুয়া খেলছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এমন একটি ভিডিও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। ভিডিও ভাইরাল হওয়াকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য নেতিবাচক হিসেবেই দেখছেন সুধীজনরা।তবে জানা গেছে, এটি অনেক আগের ভিডিও। সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে চাকচিক্যময় ও জাঁকজমকপূর্ণ ক্যাসিনো মেরিনা বে তে খেলছিলেন নাজমুল হাসান পাপন।যদিও ফেসবুকে প্রচার হচ্ছে, একসময় সিঙ্গাপুরের সেই ক্যাসিনোতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল পাপনের। তবে এমন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।
অনেকে পাপনের এই ক্যাসিনো খেলা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বন্ধু মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পরিচালক লোকমান হোসেন ভুঁইয়ার প্রসঙ্গ টানছেন। ক্যাসিনো বাণিজ্যে জড়িত থাকাসহ বাসায় অনুমোদনহীন বিদেশি মদ রাখার অপরাধে গত ২৫ সেপ্টেম্বর লোকমান হোসেন ভুঁইয়াকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।তার বিরুদ্ধে র‌্যাবের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ, অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের জন্যই তিনি মোহামেডান ক্লাবের কয়েকটি রুম ক্যাসিনোর জন্য ভাড়া দিয়েছিলেন। গ্রেফতার করা হলেও এখনো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক পদ থেকে তাকে অপসারিত বা অব্যাহতি দেয়া হয়নি।উল্লেখ্য, লোকমান হোসেন ভুঁইয়া ও নাজমুল হাসান পাপনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। লোকমান গ্রেফতারের পর পাপনের বক্তব্য ছিল, তিনি জানতেনই না যে, তার বন্ধু মদ খেতে পারে আর ক্যাসিনো বাণিজ্যে জড়িত।

৩ বছরেও ফেরেনি আযমী ও আরমান, মেঝেতে লুটিয়ে কাঁদছে সন্তানেরা!

    
তিন বছর চলে গেলেও হদিস মেলেনি না আব্দুল্লাহিল আমান আযমী এবং ব্যারিস্টার আহমেদ বিন কাসেম আরমানের। তারা কোথায় আছেন সে সম্পর্কে কারো কাছেই কোনো তথ্য নেই। পরিবারের সদস্যরা জানেন না; আদৌ তারা বেঁচে আছেন কি না। সবাই পথ চেয়ে আছেন হয়তো তারা ফিরে আসবেন। ছেলের প্রতীক্ষায় থাকতে থাকতে চলে গেলেন  আমান আযমীর মা আফিফা আযমও। মেঝেতে লুটিয়ে কাঁদছে আমানের দুই মেয়ে।
২০১৬ সালের ২২ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের ছেলে বিগ্রেডিয়ার আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে বাড়ি থেকে ফিল্মি স্টাইলে উঠিয়ে নিয়ে যায় সাদা পোষাকের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তাঁর আর কোন খবর নেই। এ নিয়ে কারো তেমন কোনো মাথাব্যাথাও দেখা যায়নি। তৎকালীন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় হলেও বাংলাদেশের গণমাধ্যম ছিল একেবারেই নীরব। বরং সত্যকে আড়াল করে অনেক বিভ্রান্তিকর সংবাদ তখন প্রচার হয়েছে।
তিন বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলো আমান আযমী ফিরে আসেননি। পরিবার তাকিয়ে রয়েছে প্রয়াত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পুত্র হুম্মামের মতোই একদিন ফিরবেন সেই আশায়। বার বার প্রশাসন, রাষ্ট্রের কাছে স্বজনরা দৌঁড়ঝাপ করেও কোন লাভ হয়নি।
তিন বছর পরে গতকাল রবিবার বড়ভাই সালমান আযমী ফেসবুকে লিখেছেন, তিনটি বছর পেরিয়ে গেল আমার ভাইটিকে ওরা গুম করেছে। আমার মা অপেক্ষা করতে করতে চলেই গেলেন। আর আমরা এই আশায় বসে আছি যে আল্লাহ্ আমাদের ভাইটিকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেবার ব্যবস্থা করবেন। ছোট ভাইয়া, আপনি যেখানেই থাকুন, আল্লাহ আপনাকে হেফাজতে রাখুন।
শুধু আমান আযমী নয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের গত দশ বছরে ৫২৪ জন মানুষেরও বেশী বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে গিয়েছে। এদের বেশিরভাগেরই কোন হদিস মেলেনি। আদৌ তারা ফিরবেন কি না জানেনা পরিবার।
একই সময়ে জামায়াতের সাবেক নেতা মীর কাসেম আলীর ছোট ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমানকেও গুম করা হয়। রাতের আঁধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তাকেও তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
ব্যারিস্টার আরমানের মা আয়েশা খন্দকার হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে লিখেছেন, তিন তিনটি বছর পুরো হয়ে গেল আমার নিরপরাধী ল’ইয়ার ছেলে কে ল’ এনফোর্স দিয়ে জোর করে নিয়ে লোক চক্ষুর অন্তরালে বন্দী করে রাখার।গুমের তিন বছর #FREE ARMAN #GIVEBACKARMAN #আরমান কে ফিরিয়ে দিন #WE WANT. JUSTICE#FREE BAR.AHMADBINQUASEM ARMAN
গত বছর আরমানের দুই মেয়ে ছবি দিয়ে আরমানের মা লিখেছিলেন – ‘ওদের আব্বুকে এ দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জোর করে নিয়ে গেছে আজ ২০ মাস। ১বছর ৮ মাস। ওদের স্মৃতির অনেকটা জুড়েই বাবাকে ধাক্কা মেরে মেরে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্যটাও ছোট্ট চোখের মনি জুড়ে রয়েছে।
পুলিশ সদরদপ্তরের রিপোর্ট অনুসারে আওয়ামী সরকারের দশবছরে (২০০৯-২০১৮) অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ৭৪৫২টি। এর মধ্যে ২০০৯ সালে ৮০০ জন, ২০১০ সালে ৮৮১ জন। ২০১১, ২০১২ এবং ২০১৩ সালে ৮৭০ জন করে অপহৃত হয়েছে। ২০১৪ সালে ৯২২ জন, ২০১৫ সালে ৮০৬ জন, ২০১৬ সালে ৬৩৯ জন, ২০১৭ সালে ৫০৯ জন, ২০১৮ সালের জুলাই পর্যন্ত ২৮৫ জন অপহরণের শিকার হয়েছে।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল গুম করা হয় বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে। আজ পর্যন্ত তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। একই বছরে ৪ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রকে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে বাস থেকে নামিয়ে গুম করে র‍্যাব। দুই ছাত্র ওয়ালীউল্লাহ ও মুকাদ্দাসের আজ পর্যন্ত কোন খোঁজ মেলেনি। চৌধুরী আলমের পরিবার জানেনা কোথায় আছে তাদের পরিবারের বটবৃক্ষ। বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ কিংবা সুখরঞ্জন বালির পরিবার জানেনা কবে দেশে ফিরতে পারবে তাদের অভিভাবক।
গত জুন মাসের ২৯ তারিখে চলে গেলেন ব্রিগেডিয়ার (অব.) আমান আযমীর মা আফিফা আযম। জীবনের শেষ সময়েও ছোট ছেলের মুখে হাত বুলানোর জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। এভাবে সন্তান, স্বামী, বাবাদের জন্য অপেক্ষা করতে করতে কেটে যাচ্ছে হাজারও মায়ের দিন।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সে পরিস্থিতির বাস্তব কোনো উন্নয়ন ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেয়া এই মানুষগুলো আদৌ কোনোদিন ফিরবে কিনা কেউ আজও পর্যন্ত বলতে পারছেনা।

পাপনের ক্যাসিনো খেলার দৃশ্য দেখে বিস্মিত প্রধানমন্ত্রী!


জে প্লাস ডেস্ক
  •  Update Time : শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০১৯, ০২:৩৪ am
ক্যাসিনো অভিযান ও সাকিব ইস্যুতে যখন ক্রিকেট ও রাজনীতির মাঠ গরম, তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের একটি ভিডিও। আর ভিডিওটি দুই ইস্যুকেই সরগরম করে দিয়েছে।
এদিকে,আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ভিডিও এবং স্থিরচিত্রগুলো দেখেছেন। যখন দেশে ক্যাসিনো বিরোধী শুদ্ধি অভিযান চলছে তখন পাপনের এই ক্যাসিনো খেলার দৃশ্য দেখে হতবাক প্রধানমন্ত্রী নিজেই। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর ) দুপুরের পর প্রধানমন্ত্রী পাপনের ক্যাসিনো খেলার স্থির এবং ভিডিও চিত্রগুলো দেখেন। তিনি ব্যাথিত এবং হতাশ হন। এই ছবি দেখতে দেখতে তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে, পাপনও!
উল্লেখ্য যে, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান এবং আওয়ামী লীগের মহিলা নেত্রী আইভী রহমান পুত্র নাজমুল হাসান পাপন। প্রধানমন্ত্রী তাকে ছোট ভাইয়ের মতই স্নেহ করেন। জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর তাকে সেই শুন্য আসনে মনোনয়ন দেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদও তাকে দেন। পাপনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগ আসলেও প্রধানমন্ত্রী সেগুলো আমলে নেননি।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর স্নেহধন্য এ কারণেই পাপন ক্রিকেট বোর্ডকে তার ইচ্ছেমতো চালিয়েছেন। জবাবদিহীতার উর্ধ্বে রেখেছিলেন নিজেকে। এখন এই ক্যাসিনোর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পাপনের পরিণতি কি হয় সেটাই দেখার বিষয়।
জানা গেছে, এটি অনেক আগের ভিডিও। সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে চাকচিক্যময় ও জাঁকজমকপূর্ণ ক্যাসিনো মেরিনা বে তে খেলছিলেন নাজমুল হাসান পাপন।
যদিও ফেসবুকে প্রচার হচ্ছে, একসময় সিঙ্গাপুরের সেই ক্যাসিনোতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল পাপনের। তবে এমন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।

আমার 'অ' 'আ' শেখানো থেকে এ পর্যন্ত টেনে আনা সকল জীবিত প্রয়াত শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের স্মরন করছি কৃতজ্ঞচিত্তে (মুহাম্মাদ শিহাব উদ্দিন)

আমার 'অ' 'আ' শেখানো থেকে এ পর্যন্ত টেনে আনা সকল জীবিত প্রয়াত শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের স্মরন করছি কৃতজ্ঞচিত্তে

:

এক বিয়ের অনুষ্ঠানে এক যুবক তার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে দেখতে পেলেন। বহুদিন  পর ছোটবেলার শিক্ষককে দেখে যুবক তাঁর কাছে ছুটে গেলেন এবং বললেন, "স্যার, আপনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন ?"

শিক্ষক বললেন, ''না, আমি খুব দুঃখিত, তোমাকে চিনতে পারছি না।"

যুবক তখন বললেন, "স্যার,আমি আপনার ছাত্র, আপনার মনে থাকার কথা, থ্রিতে পড়ার সময় আমাদের এক সহপাঠীর দামি একটি কলম চুরি হয়েছিল।
সেই সহপাঠী কাঁদতে কাঁদতে আপনাকে নালিশ করল। আর আপনি সব ছাত্রকে চোখ বন্ধ করে দেয়ালের দিকে মুখ করে দাঁড়াতে বললেন। তারপর একজন একজন করে চেক করতে শুরু করলেন । আমি ভয়ে কাঁপতে লাগলাম। কারণ কলমটি ছিল আমার পকেটে।

আমি যে কলমটি চুরি করেছি তা আবিষ্কার হওয়ার পর আমি যে লজ্জার মুখোমুখি হব, আমার শিক্ষকরা আমার সম্পর্কে যে ধারণা পাবেন, স্কুলে সবাই আমাকে 'চোর' বলে ডাকবে এবং এটি জানার পর আমার মা-বাবার কী প্রতিক্রিয়া হবে- এই সমস্ত ভাবতে ভাবতে আমার মরে যেতে ইচ্ছে হল।

একসময় আমার পালা এল । আমি অনুভব করলাম আমার পকেট থেকে আপনি কলমটি বের করছেন। কিন্তু আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম  আপনি কিছু বলছেন না এবং আপনি বাকী শিক্ষার্থীদের পকেট অনুসন্ধান করে চলেছেন।

তারপর যখন অনুসন্ধান শেষ হল, আপনি আমাদের চোখ খুলতে বললেন এবং আমাদের সবাইকে বসতে বললেন। ভয়ে আমি বসতে পারছিলাম না, কারণ আমার মনে হচ্ছিল একটু পরেই আপনি আমাকে ডাকবেন। না, আপনি তা না করে কলমটি সবাইকে দেখালেন এবং মালিককে ফেরৎ দিলেন।

কলমটি যে চুরি করেছে তার নাম আপনি আর কখনও কাউকে বলেননি। আপনি আমাকে একটি কথাও বলেননি, এবং আপনি কখনও কারও কাছে গল্পটির উল্লেখও করেননি।

স্যার , আপনি সেদিন আমার মর্যাদা রক্ষা করেছিলেন।
এই ঘটনার পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম জীবনে আর অন্যের জিনিস ছুঁয়েও দেখব না। "

"স্যার, এখন গল্পটি মনে পড়েছে কি ? গল্পটি আপনার  ভোলার কথা না !!"

শিক্ষক জবাব দিলেন, " হ্যাঁ! গল্পটি খুব ভালভাবেই মনে আছে আমার। তবে কার পকেটে কলমটি পাওয়া গিয়েছিল তা কখনো জানতে পারিনি। কারণ যখন আমি সবার পকেট চেক করছিলাম তখন আমি ইচ্ছে করেই তোমাদের মত নিজের চোখও বন্ধ করে রেখেছিলাম।"

এভাবেই প্রাথমিক শিক্ষকরা আত্মমর্যাদা বোধসম্পন্ন জাতি গঠনে কাজ করে চলেন নিরন্তর। কিন্তু তাঁরা যথাযথ মর্যাদা পায়না। যতদিন না আমলারা এটা বুঝতে পারবে, ততদিন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়, জাতির প্রকৃত বিকাশ সম্ভব নয়।

আবাসিক হোটেলে তরুণীসহ যুবলীগ নেতা আটক


মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় একটি হোটেল থেকে তরুণীসহ এক যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ওই যুব লীগ নেতার নাম কাউসার আহমেদ। তিনি শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে পাটুরিয়া ঘাটের একটি হোটেলের ৩০৯ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের পাটুরিয়ার ঘাটের একটি হোটেল থেকে যুবলীগ নেতাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় রাত ১০টা পর্যন্ত থানায় কোনও মামলা হয়নি।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সাত-আট মাস আগে ওই তরুণীর সঙ্গে কাউসারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়ের প্রলোভনে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি।

শহীদেরা অমরঃ- (লেখক মাওলানা মাসউদুর রহমান )

শহীদেরা অমরঃ-
বন্ধুরা,
ইয়াহুদীদের ধারণায় ঈসা মাসীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তারা উল্লাস প্রকাশ করেছিল, ঠিক একই কায়দায় তাদের প্রেতাত্মারা দেশ প্রেমিক ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে উল্লাস প্রকাশ করার আয়োজন সম্পন্ন করে যাচ্ছে।

জামায়াত নেতৃবৃন্দ যেভাবে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঈমানী মযবুতের জানান দিচ্ছে,তা যুগ যুগ ধরে ইসলামী আন্দোলনের খাঁটি কর্মীদের জন্য প্রেরণার বাতিঘর হয়ে থাকবে।

জামায়াত নেতৃবৃন্দ হীনবল,ভীতু, কাপুরুষ ও মনমরা হয়নি বরং তারা ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে একঝলক বিজয়ের হাসি হেসেছেন।
কারণ তারা ভালো করেই জানে ইসলামী আন্দোলনের জন্য আল্লাহ পাক কতেক লোককে পছন্দ করে শহীদ হিসেবে বাছাই করে নিতে চান। স্বয়ং রাসুল সা আল্লাহর রাস্তায় বারংবার শহীদ হতে চেয়েছেন।

প্রহসনের বিচার করে হয়তো ষড়যন্ত্রকারী কিছু দিনের জন্য সুবিধা নিতে পারবে, কিন্তু এ দেশের ষোল কোটি মানুষের অন্তর সাক্ষী জামায়াত নেতৃবৃন্দ অপরাধী নয় বরং তাদেরকে পরিকল্পিত ভাবে অপরাধী বানিয়ে বিচার করা হচ্ছে।

আজকের এই অসম সমরে জামায়াত নেতৃবৃন্দ তোমাদের কাছে অসহায়, ইনশাল্লাহ সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন তোমরা ও চুড়ান্ত হাকিমের আদালতে অসহায় ফিল করবে।
 হে আল্লাহ, আমাদের হৃদয়ের  রক্তক্ষরণের সবটুকু ব‍্যথা তোমার কুদরতি দরবারে পেশ করছি। হে আল্লাহ, দেশ প্রেমিক জামায়াত নেতৃবৃন্দের শাহাদাত কবুল করুন আমীন।
     (মাওলানা মাসউদুর রহমান)

একটি জীবনের জন্য মানবিক সাহায্যের আবেদন।

একটি জীবনের জন্য মানবিক সাহায্যের আবেদন।



---------------------------------------------------------
সংসারের চাহিদা মেটাতে বছরের পর বছর প্রবাসে কঠোর পরিশ্রম করে,  পরিশ্রমী ঘামঝড়া শরিরটায় কখন যে রোগে বাসা বেধেছে সে দিকে খেয়ালই করেনি প্রবাসী সফর আলী। প্রথমত শরীরে কেমন যেনো দানা দানার মতো উঠতে থাকে। পরে ক্রমান্বয়ে তা চর্ম রোগে   সারা শরিরটায় বড় বড় ক্ষত হতে থাকে।
  প্রবাসে শরীরে যন্ত্রনা নিয়ে কাতরাতে থাকে সফর আলী। বাংলার এক রেমিটেন্স যোদ্ধা স্থবির হয়ে যায়।
এমতাবস্থায় কোম্পানী তাকে দেশেপাঠিয়ে দেয়। বাড়িতে এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে সফর আলী।
   যে সফর আলী এক যুগের ও অধিক সময় ধরে দেশে টাকা পাঠিয়ে দেশের অর্থ নৈতিক অবস্থাকে সামান্য হলে ও উন্নতর দিকে নিয়েছে,  সে সফর আলী আজ স্তদ্ধ, যন্ত্রনায় কাতর।
 তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন।
  সফর আলীর পরিবার আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেছে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিত্তশালী দের কাছে।
  আমাদের দোহার নবাবগঞ্জে ও রয়েছেন অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও শিল্পপতি।  তাদের কাছে ও সাহায্যের আবেদন করেছেন সফর আলীর পরিবার।
   আসুন আমরা সকলেই সাধ্যমত সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে একজন সফর আলীকে বাঁচিয়ে তুলি।
একজন প্রবাসি রেমিটেন্সের অকাল মৃত্যির হাত থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করি।
 একটি ঝলমলে ভোর উদিত হতে চেষ্টা করি।
 মো সফর আলী
  পিতা হাসিম আলী
  গ্রাম তেলেঙ্গা
  পো কৈলাইল
  থানা নবাব গঞ্জ
  জেলা ঢাকা। যোগাযোগ করুন এটা বিকাশ নাম্বার008801824110860

💟"মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত"💟 লেখক মুহাম্মাদ ফরহাদুল আলম

দশ মাস দশ দিন যে মা আপনার জন্য খেটেছে।
যে দশ মাস দশ দিন আপনার পিতা আপনার শুভ আগমনের দিন চেয়ে চেয়ে নিদ্রাহীন রাত্রি যাপন করেছে, সেই পিতামাতার কাছে আপনার জীবনের মূল্য কতোটুকু তা হয়তো আপনার জানা নেই। তারা চাইলে ওই দিনই আপনার জীবনকে থেমে দিতে পারতো।
তখন কি করতেন? মা-বাবা এতোই কঠিন দুটো সম্পর্কের নাম যার জন্য আজকে আপনি দুনিয়ার মোহ দেখতে পাচ্ছেন আর ভবিষ্যৎ জীবনেও সে একই সম্পর্কের টানে তারা আপনাকে কখনো ছোট হতে দিবে না। আজকের সমাজে আপনি প্রতিষ্ঠিত একজন মানুষ। সবাই আপনার সুনাম করে। আর চোখের আড়ালে আপনার চোখে নিতান্তই একজন ছোট মানুষ যারা আপনার আজকের এ সুনামের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। আপনাকে বড় করে তোলাটাই যদি আপনার কাছে তুচ্ছতাচ্ছিল্য মনে হয়, তাহলে এ জীবন তাদের ব্যর্থতায় ভরা। চোখের সামনে আপনি নিজের কাছে আর সমাজের কাছে অনেক বড়। কিন্তু আপনার পিতামাতার কাছে আপনি এখনো সেই আদো আদো মুখের ধ্বনি।  দুনিয়ার মানুষগুলো বড়ই স্বার্থপরলে😥😥। কেনো এ স্বার্থপরতা?এমন একটি অবস্থানে আপনিও একদিন যাবেন। নিজের বেলায় বাস্তবতা মেনে নিতে পারলে কেন আপনার জনমদুখিনী মায়ের বাস্তবতা স্বীকার করে নিতে পারছেন না?
ভুলে গেছেন আপনার জান্নাত আপনার পাশেই।
দুনিয়াতে মানুষ অনেক ধরনের আছে রে!!!। সুখ মানুষের নিকটেই আজীবন বিদ্যমান। মানুষ তালাশ করতে ভুল করে। মা-বাবাই তো, আমাদের তাদের জায়গায় রেখে তালাশ করি।
বৃত্তের বাহিরে কিছু তালাশ করতে যায়েন না। কেন্দ্র খুঁজে  নিতে আবার ঠিক বৃত্তের ভেতরই আসা লাগবে।
💟 মা তোমায় শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত নিঃস্বার্থ ভালোবাসা💟
আলাদা মা দিবস বাবা দিবস নামে তোমাদের কখনোই করবো না ছোট।
জমিনের প্রতিটি মায়ের সন্তানই হোক তার পিতামাতার  শেষ রক্তবিন্দু।
💟"মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত"💟

নিখোঁজ সংবাদ

নিখোঁজ সংবাদ


◾◾◾◾◾◾
লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়ন ধলিবিলা মাঝির পাডা নিবাসী
মরহুম নুর মুহাম্মাদ ও ছমুদা খাতুন
(প্রকাশ পুতিক্ষনির) এর সন্তান এবং আমিরাবাদ রাজঘাটা মাদ্রাসার  ছাত্র এবং পদুয়া ধলিবিলা মাঝির পাডা হেফজখানার সাবেক ছাত্র
মুহাম্মাদ আবু তৈয়ব
গত ১সপ্তাহ আগে হারিয়ে গিয়েছে। 
আত্মীয় স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশিসহ সব সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। 
কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি খোঁজ পেয়ে থাকলে
এই মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করুন।

ছাত্রের বড ভাইয়ের মোবাইল নাম্বারঃ-01862758859
অথবা এই ফেসবুক ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।

সবাই সিয়ার করে ছাত্র টি পাওয়ার সুযোগ করে দিন।

আওয়ামীলীগ করা সহজ নয়।

আওয়ামীলীগ করা সহজ নয়। 
আওয়ামীলীগ করতো আওয়ামী:প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি: মাওলানা ভাসানি,  জেনারেল ওসমানি, ওনারা আওয়ামীগ করে মরতে পারেননি।  তাজউদ্দীন আহমেদ আওয়ামীলীগ করতেন, তিনিও আওয়ামীলীগ ত্যাগ করেছেন। তার ছেলে সোহেল তাজ মন্ত্রীত্ব ছেড়ে  এখন আওয়ামীলীগ থেকে দূরে।

শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন,  নুরে আলম সিদ্দিক, শাহ জাহান সিরাজ, কট্টর আওয়ামীলীগ হওয়া সত্বেও আওয়ামী দাসত্বের শিকল ভেঙ্গে বেড়িয়ে গেছেন।

জাগপার সফিউল আলম প্রধান  জীবনের বড় অংশ আওয়ামীলীগের অনাচারের বিরুদ্ধে বারুদের মত জ্বলে উঠেছেন।

কোন ভদ্র মার্জিত সম্ভ্রান্ত বংশের লোকই আওয়ামীলীগে থেকে ইজ্জত বাঁচিয়ে রাজনীতি করতে পারেনি।
হয় তাদের চোর হতে হবে,  না হয় লুটেরা, মিথ্যাবাদি,  সন্ত্রাসী,  বাটপাড়,  ক্যাসিনো জুয়ারী,  ব্যাংক চোর,  ভোট চোর, পেঁয়াজ চোর,কম্বল চোর হতেই হবে।হতেই হবে।

কোন কিছু না হতে পারলেও  একজন আওয়ামীলীগারকে   অপদার্থ হতে হবে।
তাকে সত্য কথা  বলা, উচিত কথা  বলা , দেশের মানুষের কথা বলা থেকে বিরত থেকে নির্বোধের মত মাথা নত করে থাকতে হবে,।

তাকে বিচারক হলেও অবিচার করতে হবে,
অন্যায় রায় প্রদান করতে হবে।
প্রধান বিচারপতি হলেও  তাকে লাথি খেয়ে দেশ ত্যাগ করতে হবে।

একজন আওয়ামীকে হতে হবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদের নিষ্ঠাবান  গোলাম।
 যাতে সে খুনিকে মাপ ও নির্দোষীকে শাস্তি প্রধান করতে সম্মতি দেয়।

মোট  কথা  যারা হাতুরী লীগ, হেলমেট লীগ, ধর্ষক লীগ,
চাপাবাজ, অভিনেত্রী, অঙ্গ ভঙ্গি, টিটকারী, দিতে পারবে।
 যারা ভারত  বন্ধনা করতে পারবে,
যারা ভারতের স্বার্থে আবরার  ফাহাদদের পিটিয়ে মারতে পারবে,

অনবরত  হিটলারের  মন্ত্রী  গোয়েবলসের  মত সত্যকে  মিথ্যা, আর মানি লোকদের চরিত্র হানি করে , তোষামোদে বড় হুজুরের পা চাটতে চাটতে পায়ের চামড়া তুলে ফেলতে পারবে,

তারাই   একমাত্র আওয়ামীলীগ করে মরতে পারবে।
তারাই হতে পারবে বিশ্বস্ত আওয়ামীলীগার।

Saturday 26 October 2019


বাংলাদেশে গরু পাচারে জড়িত বিএসএফ: ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা

Jplus tv 
বাংলাদেশ গরু পাচারের সঙ্গে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) জড়িত রয়েছে বলে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (সিবিআই) এক তদন্তে রিপোর্টে বলা হয়েছে।
সিবিআই’র বরাতে এবিপি আনন্দের এক খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সদর দফতরে একটি অভিযোগ জমা পড়ে। তাতে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের একাধিক সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে বাংলাদেশে রমরমা গরু পাচার বাণিজ্য চলছে। আর এর সঙ্গে রাজ্যের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বরাও জড়িত।
এরপর সদর দফতর থেকে অভিযোগটি তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের কলকাতা দফতরে। এরপরেই এ রাজ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে গরু পাচার নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করে সেই রিপোর্ট কলকাতা থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় দিল্লিতে।
সিবিআই সূত্রের খবর, প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে গরু পাচার নিয়ে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে একাধিক রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের নাম উঠে এসেছে। রয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর কিছু কর্মকর্তার নামও।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে অভিযুক্ত বিএসএফ কর্মকর্তা, সবার কাছেই পৌঁছে যাচ্ছে নিয়মিত মাসোহারা। সিবিআইয়ের অনুমান, শুধু গরু পাচারই নয়, বেআইনি কারবারের এই জাল ছড়িয়ে গেছে সোনা পাচার ও জাল নোটের কারবারেও।
সিবিআই সূত্রের খবর, গরু পাচার নিয়ে প্রাথমিক এই রিপোর্টের ভিত্তিতে এফআইআর দায়েরের আর্জি করা হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এবিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে এখন আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।
ব্রেকিং নিউজ



মাদক কারবারিকে ধরিয়ে দিলেই প্রাইজ বন্ড

Jplus tv 
  •  Update Time : রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৯, ০৫:৩৩ am
মাদকাসক্ত কিংবা মাদক কারবারিদের ধরিয়ে দিলে পুরস্কার হিসেবে পাঁচ হাজার টাকার প্রাইজ বন্ড দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ময়মনসিংহ-৯ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন।
শনিবার সকালে ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য বলেন, ‘সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এখন মাদকই বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে মাদকাসক্ত কিংবা মাদক কারবারিকে রেহাই দেওয়া হবে না।’

সৌদি আরব ৯০ দিনের হোস্ট ভিসা দেবে


 প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৫৫:৫৫,অপরাহ্ন ২৬ অক্টোবর ২০১৯

হোস্ট ভিসা’ নামে নতুন এক ধরনের ভিসা চালু করতে যাচ্ছে সৌদি আরব সরকার। এই ভিসার মাধ্যমে কোনো সৌদি নাগরিক বা প্রবাসীরা নিজেদের খরচে ৯০ দিনের জন্য পরিচিত মানুষজনকে বা জনদের সৌদি আরবে নিয়ে আসতে পারবেন। খুব শিগগিরই চালু হতে যাচ্ছে নতুন এই ভিসার কার্যক্রম।
হোস্ট ভিসার বিষয়ে বলা হয়েছে, সৌদি নাগরিক ও প্রবাসীরা সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৫ জন নিকটাত্মীয় বা পরিচিতজনকে এই ভিসায় নিয়ে আসতে পারবেন। অতিথিরা হোটেলে বা হোস্টের বাড়িতে থাকতে পারবেন। হোস্ট ভিসায় এসে ওমরাহও করা যাবে।
পাশাপাশি সৌদি আরবের সব ট্যুরিস্ট এক্টিভিটি উপভোগ করা যাবে। প্রতিজনের জন্য হোস্ট ভিসার খরচ পড়বে ৫০০ রিয়াল। ভিসার মেয়াদকাল ১ বছর। এই ভিসায় সর্বোচ্চ ৯০ দিন অবস্থান করা যাবে। ভিসায় মাল্টিপল এন্ট্রি গ্রহণযোগ্য হবে না। একই বছরে নতুন করে ভিসা ইস্যু করে সর্বোচ্চ তিনবার প্রবেশ করা যাবে।
এর আগে সৌদি আরব ৪৯টি দেশের পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ ভিসা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৯
×

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকার অশ্লীল ভিডিও

প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক
আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালেয়ের দুইজন শিক্ষকের পর্ন ভিডিও এবং ছবি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহলে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও কোনও ব্যবস্থা না নেয়নি অদ্যাবধি। পর্ন ভিডিওর বিষয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে।
এদিকে, অনৈতিক কাজে লিপ্ত দুই শিক্ষককে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে বরখাস্ত অথবা বহিষ্কার না করায় বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
তবে, বিশ্ববিদ্যালয়টির অভিভাবক ও ভারপ্রাপ্ত ভিসি ড. কাজী শরিফুল আলমের কাছে বিষয়টি ‘নিতান্তই ব্যক্তিগত’ এবং একপক্ষ থেকে অভিযোগ আসা একটি ঘটনা মাত্র। ২৪ অক্টোবর রাতে একটি গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত ভিসি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিসির কাছে সিডিতে পর্ন ভিডিওর কপিসহ লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে একমাস করে ছুটি দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্ট্যাডিজ বিভাগের এই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করারও কোনও উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন পর্ন তৈরিতে অভিযুক্ত নারী শিক্ষকের স্বামী। ওই নারী শিক্ষকের পাঁচ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। ডায়েরিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে তার বাসার গেটে একটি সাদা খাম দেখতে পান। খাম খুলে দেখা যায় একটি সিডি। সিডি চালিয়ে দেখেন তার শিক্ষক স্ত্রী অপর এক পুরুষ লোকে সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন পুরুষ ওই লোকটি আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্ট্যাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত ভিসি ড. কাজী শরিফুল আলম বলেন, ‘পর্ন ভিডিওটি আমাদের হাতেও এসেছে। বিষয়টি তাদের ব্যক্তিগত এবং তদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না।’
ভিডিওর ভিত্তিতে নৈতিক স্খলনের প্রশ্ন তুলে শিক্ষকদ্বয়কে বহিষ্কার করার কোনও উদ্যোগ আছে কি-না জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত ভিসি বলেন, ‘অনৈতকতার প্রশ্ন আসে না। বিষয়টি তাদের ব্যক্তিগত। একপক্ষ অভিযোগ করেছে মাত্র। নৈতিক-অনৈতিক কীভাবে বলি?’