Jplus tv
Friday, 26 June 2020
Monday, 25 November 2019
Thursday, 31 October 2019
ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী,কঠিণ বিপদে পাপন
গতকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ক্যাসিনো খেলার একটি ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। প্রথমে দুটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আজ পাপনের ক্যাসিনো খেলার ভিডিওটিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ভিডিও এবং স্থিরচিত্রগুলো দেখেছেন। যখন দেশে ক্যাসিনো বিরোধী শুদ্ধি অভিযান চলছে তখন পাপনের এই ক্যাসিনো খেলার দৃশ্য দেখে হতবাক প্রধানমন্ত্রী নিজেই। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আজ দুপুরের পর প্রধানমন্ত্রী পাপনের ক্যাসিনো খেলার স্থির এবং ভিডিও চিত্রগুলো দেখেন। তিনি ব্যাথিত এবং হতাশ হন।
এই ছবি দেখতে দেখতে তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে, পাপনও!উল্লেখ্য যে, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান এবং আওয়ামী লীগের মহিলা নেত্রী আইভী রহমান পুত্র নাজমুল হাসান পাপন। প্রধানমন্ত্রী তাকে ছোট ভাইয়ের মতই স্নেহ করেন। জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর তাকে সেই শুন্য আসনে মনোনয়ন দেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদও তাকে দেন। পাপনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগ আসলেও প্রধানমন্ত্রী সেগুলো আমলে নেননি।অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর স্নেহধন্য এ কারণেই পাপন ক্রিকেট বোর্ডকে তার ইচ্ছেমতো চালিয়েছেন। জবাবদিহীতার উর্ধ্বে রেখেছিলেন নিজেকে। এখন এই ক্যাসিনোর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পাপনের পরিণতি কি হয় সেটাই দেখার বিষয়।
আরও পড়ুনঃজাঁকজমকপূর্ণ ক্যাসিনোতে জুয়া খেলছেন বিসিবি সভাপতি পাপন! (ভিডিও)জাঁকজমকপূর্ণ কোনো এক ক্যাসিনোতে বসে জুয়া খেলছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এমন একটি ভিডিও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। ভিডিও ভাইরাল হওয়াকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য নেতিবাচক হিসেবেই দেখছেন সুধীজনরা।তবে জানা গেছে, এটি অনেক আগের ভিডিও। সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে চাকচিক্যময় ও জাঁকজমকপূর্ণ ক্যাসিনো মেরিনা বে তে খেলছিলেন নাজমুল হাসান পাপন।যদিও ফেসবুকে প্রচার হচ্ছে, একসময় সিঙ্গাপুরের সেই ক্যাসিনোতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল পাপনের। তবে এমন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।
অনেকে পাপনের এই ক্যাসিনো খেলা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বন্ধু মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পরিচালক লোকমান হোসেন ভুঁইয়ার প্রসঙ্গ টানছেন। ক্যাসিনো বাণিজ্যে জড়িত থাকাসহ বাসায় অনুমোদনহীন বিদেশি মদ রাখার অপরাধে গত ২৫ সেপ্টেম্বর লোকমান হোসেন ভুঁইয়াকে গ্রেফতার করে র্যাব।তার বিরুদ্ধে র্যাবের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ, অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের জন্যই তিনি মোহামেডান ক্লাবের কয়েকটি রুম ক্যাসিনোর জন্য ভাড়া দিয়েছিলেন। গ্রেফতার করা হলেও এখনো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক পদ থেকে তাকে অপসারিত বা অব্যাহতি দেয়া হয়নি।উল্লেখ্য, লোকমান হোসেন ভুঁইয়া ও নাজমুল হাসান পাপনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। লোকমান গ্রেফতারের পর পাপনের বক্তব্য ছিল, তিনি জানতেনই না যে, তার বন্ধু মদ খেতে পারে আর ক্যাসিনো বাণিজ্যে জড়িত।
৩ বছরেও ফেরেনি আযমী ও আরমান, মেঝেতে লুটিয়ে কাঁদছে সন্তানেরা!
তিন বছর চলে গেলেও হদিস মেলেনি না আব্দুল্লাহিল আমান আযমী এবং ব্যারিস্টার আহমেদ বিন কাসেম আরমানের। তারা কোথায় আছেন সে সম্পর্কে কারো কাছেই কোনো তথ্য নেই। পরিবারের সদস্যরা জানেন না; আদৌ তারা বেঁচে আছেন কি না। সবাই পথ চেয়ে আছেন হয়তো তারা ফিরে আসবেন। ছেলের প্রতীক্ষায় থাকতে থাকতে চলে গেলেন আমান আযমীর মা আফিফা আযমও। মেঝেতে লুটিয়ে কাঁদছে আমানের দুই মেয়ে।
২০১৬ সালের ২২ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের ছেলে বিগ্রেডিয়ার আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে বাড়ি থেকে ফিল্মি স্টাইলে উঠিয়ে নিয়ে যায় সাদা পোষাকের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তাঁর আর কোন খবর নেই। এ নিয়ে কারো তেমন কোনো মাথাব্যাথাও দেখা যায়নি। তৎকালীন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় হলেও বাংলাদেশের গণমাধ্যম ছিল একেবারেই নীরব। বরং সত্যকে আড়াল করে অনেক বিভ্রান্তিকর সংবাদ তখন প্রচার হয়েছে।
তিন বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলো আমান আযমী ফিরে আসেননি। পরিবার তাকিয়ে রয়েছে প্রয়াত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পুত্র হুম্মামের মতোই একদিন ফিরবেন সেই আশায়। বার বার প্রশাসন, রাষ্ট্রের কাছে স্বজনরা দৌঁড়ঝাপ করেও কোন লাভ হয়নি।
তিন বছর পরে গতকাল রবিবার বড়ভাই সালমান আযমী ফেসবুকে লিখেছেন, তিনটি বছর পেরিয়ে গেল আমার ভাইটিকে ওরা গুম করেছে। আমার মা অপেক্ষা করতে করতে চলেই গেলেন। আর আমরা এই আশায় বসে আছি যে আল্লাহ্ আমাদের ভাইটিকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেবার ব্যবস্থা করবেন। ছোট ভাইয়া, আপনি যেখানেই থাকুন, আল্লাহ আপনাকে হেফাজতে রাখুন।
শুধু আমান আযমী নয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের গত দশ বছরে ৫২৪ জন মানুষেরও বেশী বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে গিয়েছে। এদের বেশিরভাগেরই কোন হদিস মেলেনি। আদৌ তারা ফিরবেন কি না জানেনা পরিবার।
একই সময়ে জামায়াতের সাবেক নেতা মীর কাসেম আলীর ছোট ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমানকেও গুম করা হয়। রাতের আঁধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তাকেও তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
ব্যারিস্টার আরমানের মা আয়েশা খন্দকার হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে লিখেছেন, তিন তিনটি বছর পুরো হয়ে গেল আমার নিরপরাধী ল’ইয়ার ছেলে কে ল’ এনফোর্স দিয়ে জোর করে নিয়ে লোক চক্ষুর অন্তরালে বন্দী করে রাখার।গুমের তিন বছর #FREE ARMAN #GIVEBACKARMAN #আরমান কে ফিরিয়ে দিন #WE WANT. JUSTICE#FREE BAR.AHMADBINQUASEM ARMAN
গত বছর আরমানের দুই মেয়ে ছবি দিয়ে আরমানের মা লিখেছিলেন – ‘ওদের আব্বুকে এ দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জোর করে নিয়ে গেছে আজ ২০ মাস। ১বছর ৮ মাস। ওদের স্মৃতির অনেকটা জুড়েই বাবাকে ধাক্কা মেরে মেরে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্যটাও ছোট্ট চোখের মনি জুড়ে রয়েছে।
পুলিশ সদরদপ্তরের রিপোর্ট অনুসারে আওয়ামী সরকারের দশবছরে (২০০৯-২০১৮) অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ৭৪৫২টি। এর মধ্যে ২০০৯ সালে ৮০০ জন, ২০১০ সালে ৮৮১ জন। ২০১১, ২০১২ এবং ২০১৩ সালে ৮৭০ জন করে অপহৃত হয়েছে। ২০১৪ সালে ৯২২ জন, ২০১৫ সালে ৮০৬ জন, ২০১৬ সালে ৬৩৯ জন, ২০১৭ সালে ৫০৯ জন, ২০১৮ সালের জুলাই পর্যন্ত ২৮৫ জন অপহরণের শিকার হয়েছে।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল গুম করা হয় বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে। আজ পর্যন্ত তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। একই বছরে ৪ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রকে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে বাস থেকে নামিয়ে গুম করে র্যাব। দুই ছাত্র ওয়ালীউল্লাহ ও মুকাদ্দাসের আজ পর্যন্ত কোন খোঁজ মেলেনি। চৌধুরী আলমের পরিবার জানেনা কোথায় আছে তাদের পরিবারের বটবৃক্ষ। বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ কিংবা সুখরঞ্জন বালির পরিবার জানেনা কবে দেশে ফিরতে পারবে তাদের অভিভাবক।
গত জুন মাসের ২৯ তারিখে চলে গেলেন ব্রিগেডিয়ার (অব.) আমান আযমীর মা আফিফা আযম। জীবনের শেষ সময়েও ছোট ছেলের মুখে হাত বুলানোর জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। এভাবে সন্তান, স্বামী, বাবাদের জন্য অপেক্ষা করতে করতে কেটে যাচ্ছে হাজারও মায়ের দিন।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সে পরিস্থিতির বাস্তব কোনো উন্নয়ন ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেয়া এই মানুষগুলো আদৌ কোনোদিন ফিরবে কিনা কেউ আজও পর্যন্ত বলতে পারছেনা।
পাপনের ক্যাসিনো খেলার দৃশ্য দেখে বিস্মিত প্রধানমন্ত্রী!
জে প্লাস ডেস্ক
- Update Time : শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০১৯, ০২:৩৪ am
ক্যাসিনো অভিযান ও সাকিব ইস্যুতে যখন ক্রিকেট ও রাজনীতির মাঠ গরম, তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের একটি ভিডিও। আর ভিডিওটি দুই ইস্যুকেই সরগরম করে দিয়েছে।
এদিকে,আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ভিডিও এবং স্থিরচিত্রগুলো দেখেছেন। যখন দেশে ক্যাসিনো বিরোধী শুদ্ধি অভিযান চলছে তখন পাপনের এই ক্যাসিনো খেলার দৃশ্য দেখে হতবাক প্রধানমন্ত্রী নিজেই। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর ) দুপুরের পর প্রধানমন্ত্রী পাপনের ক্যাসিনো খেলার স্থির এবং ভিডিও চিত্রগুলো দেখেন। তিনি ব্যাথিত এবং হতাশ হন। এই ছবি দেখতে দেখতে তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে, পাপনও!
উল্লেখ্য যে, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান এবং আওয়ামী লীগের মহিলা নেত্রী আইভী রহমান পুত্র নাজমুল হাসান পাপন। প্রধানমন্ত্রী তাকে ছোট ভাইয়ের মতই স্নেহ করেন। জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর তাকে সেই শুন্য আসনে মনোনয়ন দেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদও তাকে দেন। পাপনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগ আসলেও প্রধানমন্ত্রী সেগুলো আমলে নেননি।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর স্নেহধন্য এ কারণেই পাপন ক্রিকেট বোর্ডকে তার ইচ্ছেমতো চালিয়েছেন। জবাবদিহীতার উর্ধ্বে রেখেছিলেন নিজেকে। এখন এই ক্যাসিনোর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পাপনের পরিণতি কি হয় সেটাই দেখার বিষয়।
জানা গেছে, এটি অনেক আগের ভিডিও। সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে চাকচিক্যময় ও জাঁকজমকপূর্ণ ক্যাসিনো মেরিনা বে তে খেলছিলেন নাজমুল হাসান পাপন।
যদিও ফেসবুকে প্রচার হচ্ছে, একসময় সিঙ্গাপুরের সেই ক্যাসিনোতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল পাপনের। তবে এমন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।
আমার 'অ' 'আ' শেখানো থেকে এ পর্যন্ত টেনে আনা সকল জীবিত প্রয়াত শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের স্মরন করছি কৃতজ্ঞচিত্তে (মুহাম্মাদ শিহাব উদ্দিন)
আমার 'অ' 'আ' শেখানো থেকে এ পর্যন্ত টেনে আনা সকল জীবিত প্রয়াত শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের স্মরন করছি কৃতজ্ঞচিত্তে
:
এক বিয়ের অনুষ্ঠানে এক যুবক তার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে দেখতে পেলেন। বহুদিন পর ছোটবেলার শিক্ষককে দেখে যুবক তাঁর কাছে ছুটে গেলেন এবং বললেন, "স্যার, আপনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন ?"
শিক্ষক বললেন, ''না, আমি খুব দুঃখিত, তোমাকে চিনতে পারছি না।"
যুবক তখন বললেন, "স্যার,আমি আপনার ছাত্র, আপনার মনে থাকার কথা, থ্রিতে পড়ার সময় আমাদের এক সহপাঠীর দামি একটি কলম চুরি হয়েছিল।
সেই সহপাঠী কাঁদতে কাঁদতে আপনাকে নালিশ করল। আর আপনি সব ছাত্রকে চোখ বন্ধ করে দেয়ালের দিকে মুখ করে দাঁড়াতে বললেন। তারপর একজন একজন করে চেক করতে শুরু করলেন । আমি ভয়ে কাঁপতে লাগলাম। কারণ কলমটি ছিল আমার পকেটে।
আমি যে কলমটি চুরি করেছি তা আবিষ্কার হওয়ার পর আমি যে লজ্জার মুখোমুখি হব, আমার শিক্ষকরা আমার সম্পর্কে যে ধারণা পাবেন, স্কুলে সবাই আমাকে 'চোর' বলে ডাকবে এবং এটি জানার পর আমার মা-বাবার কী প্রতিক্রিয়া হবে- এই সমস্ত ভাবতে ভাবতে আমার মরে যেতে ইচ্ছে হল।
একসময় আমার পালা এল । আমি অনুভব করলাম আমার পকেট থেকে আপনি কলমটি বের করছেন। কিন্তু আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম আপনি কিছু বলছেন না এবং আপনি বাকী শিক্ষার্থীদের পকেট অনুসন্ধান করে চলেছেন।
তারপর যখন অনুসন্ধান শেষ হল, আপনি আমাদের চোখ খুলতে বললেন এবং আমাদের সবাইকে বসতে বললেন। ভয়ে আমি বসতে পারছিলাম না, কারণ আমার মনে হচ্ছিল একটু পরেই আপনি আমাকে ডাকবেন। না, আপনি তা না করে কলমটি সবাইকে দেখালেন এবং মালিককে ফেরৎ দিলেন।
কলমটি যে চুরি করেছে তার নাম আপনি আর কখনও কাউকে বলেননি। আপনি আমাকে একটি কথাও বলেননি, এবং আপনি কখনও কারও কাছে গল্পটির উল্লেখও করেননি।
স্যার , আপনি সেদিন আমার মর্যাদা রক্ষা করেছিলেন।
এই ঘটনার পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম জীবনে আর অন্যের জিনিস ছুঁয়েও দেখব না। "
"স্যার, এখন গল্পটি মনে পড়েছে কি ? গল্পটি আপনার ভোলার কথা না !!"
শিক্ষক জবাব দিলেন, " হ্যাঁ! গল্পটি খুব ভালভাবেই মনে আছে আমার। তবে কার পকেটে কলমটি পাওয়া গিয়েছিল তা কখনো জানতে পারিনি। কারণ যখন আমি সবার পকেট চেক করছিলাম তখন আমি ইচ্ছে করেই তোমাদের মত নিজের চোখও বন্ধ করে রেখেছিলাম।"
এভাবেই প্রাথমিক শিক্ষকরা আত্মমর্যাদা বোধসম্পন্ন জাতি গঠনে কাজ করে চলেন নিরন্তর। কিন্তু তাঁরা যথাযথ মর্যাদা পায়না। যতদিন না আমলারা এটা বুঝতে পারবে, ততদিন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়, জাতির প্রকৃত বিকাশ সম্ভব নয়।
:
এক বিয়ের অনুষ্ঠানে এক যুবক তার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে দেখতে পেলেন। বহুদিন পর ছোটবেলার শিক্ষককে দেখে যুবক তাঁর কাছে ছুটে গেলেন এবং বললেন, "স্যার, আপনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন ?"
শিক্ষক বললেন, ''না, আমি খুব দুঃখিত, তোমাকে চিনতে পারছি না।"
যুবক তখন বললেন, "স্যার,আমি আপনার ছাত্র, আপনার মনে থাকার কথা, থ্রিতে পড়ার সময় আমাদের এক সহপাঠীর দামি একটি কলম চুরি হয়েছিল।
সেই সহপাঠী কাঁদতে কাঁদতে আপনাকে নালিশ করল। আর আপনি সব ছাত্রকে চোখ বন্ধ করে দেয়ালের দিকে মুখ করে দাঁড়াতে বললেন। তারপর একজন একজন করে চেক করতে শুরু করলেন । আমি ভয়ে কাঁপতে লাগলাম। কারণ কলমটি ছিল আমার পকেটে।
আমি যে কলমটি চুরি করেছি তা আবিষ্কার হওয়ার পর আমি যে লজ্জার মুখোমুখি হব, আমার শিক্ষকরা আমার সম্পর্কে যে ধারণা পাবেন, স্কুলে সবাই আমাকে 'চোর' বলে ডাকবে এবং এটি জানার পর আমার মা-বাবার কী প্রতিক্রিয়া হবে- এই সমস্ত ভাবতে ভাবতে আমার মরে যেতে ইচ্ছে হল।
একসময় আমার পালা এল । আমি অনুভব করলাম আমার পকেট থেকে আপনি কলমটি বের করছেন। কিন্তু আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম আপনি কিছু বলছেন না এবং আপনি বাকী শিক্ষার্থীদের পকেট অনুসন্ধান করে চলেছেন।
তারপর যখন অনুসন্ধান শেষ হল, আপনি আমাদের চোখ খুলতে বললেন এবং আমাদের সবাইকে বসতে বললেন। ভয়ে আমি বসতে পারছিলাম না, কারণ আমার মনে হচ্ছিল একটু পরেই আপনি আমাকে ডাকবেন। না, আপনি তা না করে কলমটি সবাইকে দেখালেন এবং মালিককে ফেরৎ দিলেন।
কলমটি যে চুরি করেছে তার নাম আপনি আর কখনও কাউকে বলেননি। আপনি আমাকে একটি কথাও বলেননি, এবং আপনি কখনও কারও কাছে গল্পটির উল্লেখও করেননি।
স্যার , আপনি সেদিন আমার মর্যাদা রক্ষা করেছিলেন।
এই ঘটনার পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম জীবনে আর অন্যের জিনিস ছুঁয়েও দেখব না। "
"স্যার, এখন গল্পটি মনে পড়েছে কি ? গল্পটি আপনার ভোলার কথা না !!"
শিক্ষক জবাব দিলেন, " হ্যাঁ! গল্পটি খুব ভালভাবেই মনে আছে আমার। তবে কার পকেটে কলমটি পাওয়া গিয়েছিল তা কখনো জানতে পারিনি। কারণ যখন আমি সবার পকেট চেক করছিলাম তখন আমি ইচ্ছে করেই তোমাদের মত নিজের চোখও বন্ধ করে রেখেছিলাম।"
এভাবেই প্রাথমিক শিক্ষকরা আত্মমর্যাদা বোধসম্পন্ন জাতি গঠনে কাজ করে চলেন নিরন্তর। কিন্তু তাঁরা যথাযথ মর্যাদা পায়না। যতদিন না আমলারা এটা বুঝতে পারবে, ততদিন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়, জাতির প্রকৃত বিকাশ সম্ভব নয়।
আবাসিক হোটেলে তরুণীসহ যুবলীগ নেতা আটক
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় একটি হোটেল থেকে তরুণীসহ এক যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ওই যুব লীগ নেতার নাম কাউসার আহমেদ। তিনি শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে পাটুরিয়া ঘাটের একটি হোটেলের ৩০৯ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের পাটুরিয়ার ঘাটের একটি হোটেল থেকে যুবলীগ নেতাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় রাত ১০টা পর্যন্ত থানায় কোনও মামলা হয়নি।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সাত-আট মাস আগে ওই তরুণীর সঙ্গে কাউসারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়ের প্রলোভনে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি।
Subscribe to:
Posts (Atom)